পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশির সংখ্যা এত বেশি, তারা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ঝাড়খণ্ডও এই সমস্যা নিয়ে বিপদে পড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ রুখতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জমি দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিধান সভার নির্বাচনে জনসভায় অংশ নিতে ধানবাদে যাওয়ার আগে বোকারো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতার কারণে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করছে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) জমি দিচ্ছেন না তিনি। মমতা শুধু নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্তরে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকারগুলোর সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে মমতাকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের সীমান্তে এমন ৭২টি জায়গা রয়েছে যেখানে কাঁটাতারের বেড়ার কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিএসএফের জমি দরকার। কিন্তু তিনি এটি হতে দেননি। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশনও বিচারাধীন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের থেকে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষার জন্য ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের প্রয়োজন। অনুপ্রবেশকারীরা ঝাড়খণ্ডের হিন্দু সমাজ এবং উপজাতিদের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রাজ্যের স্বার্থে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে।
পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরার বাইরে ভারতবর্ষের ‘হিন্দি বলয়ের রাজ্য’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বাংলা বলা হয় ঝাড়খণ্ডে। এখানকার দ্বিতীয় সরকার স্বীকৃত ভাষা বাংলা। রাজ্যটিতে প্রায় ৯০ লাখ বাংলাভাষী মানুষের বসবাস। সাম্প্রতিক সময়ে সে সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। বিজেপির দাবি, অনুপ্রবেশের জেরেই বাড়ছে বাংলাভাষী মানুষ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতারা ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যু হাতিয়ার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।