র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন মহলের চিঠি লেখালেখির ফলে এ দেশের কিছু ব্যক্তি যথেষ্ট জোর পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে সরকার বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি মিশন ও সংস্থাগুলোর কাছে ব্রিফিং পাঠাচ্ছে।
র্যাবের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন সদস্যের চিঠিসহ বিভিন্ন তৎপরতা মোকাবেলায় সরকার কী করছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যক্তিবিশেষ বিভিন্ন চিঠি নিয়ে, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট জোর পেয়েছে।
বিজ্ঞাপনতারা লেখালেখি করবে। কিন্তু এগুলো ব্যক্তি বিশেষের লেখালেখি। আমাদের বিশ্বাস, ওই সংস্থাগুলো এগুলো খুব আমলে নেবে না। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তবু সেই সংস্থাগুলোকে ব্রিফিং পাঠাচ্ছি। দেশের আসলে কী অবস্থা, সে বিষয়ে আমরা সব সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি। আমরা মনে করি, আমাদের যে ধরনের সম্পর্ক আছে, তাতে ব্যক্তিবিশেষ ও বিভিন্ন লবিস্ট গ্রুপের প্ররোচনায় খুব একটা সুবিধা হবে না। ’
ঢাকায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব মিশনে ব্রিফিং আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। সব সংস্থার কাছেও আমরা পাঠাচ্ছি। ’
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছি। কী করতে হবে সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরা সিদ্ধান্তগুলো আলোচনার মধ্য দিয়েই নেব। ’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কয়েকজন মিলে বসে প্রতিদিনই কোন দিন কী করা উচিত, সিদ্ধান্ত নিই। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। ’
বিদেশে অপপ্রচারের অভিযোগে বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের অমঙ্গল যারা চায় তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আপনারাই বলেন।
পি এস/এন আই