ব্যথাযুক্ত ব্রণ অস্বস্তিকর। আর নাকের ভেতর হলে তো কথাই নেই- কটা দিন পুরো মাটি হয়ে যায়!
তবে প্রশ্ন জাগতে পারে, মুখের ত্বকে ওঠা ব্রণ নাকের ভেতর গেল কীভাবে?
এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কেনেথ মার্ক বলেন, “আটকে যাওয়া লোমকূপ, নাকের ভেতরের ত্বকে চুল গজানো বা নাকের ভেতরের লোমকূপে প্রদাহের কারণে ব্যথাযুক্ত ব্রণ হয়।”
যা করা উচিত
আর যাই হোক, ব্রণের সাথে মারামারি করা যাবে না।
এই বিষয়ে একই প্রতিবেদনে ‘ডা. পিম্পল পপার’ হিসেবে খ্যাত মার্কিন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. সান্ড্রা লি বলেন, “নাকের ভেতর অনেক ক্ষুদ্র স্নায়ু রয়েছে। যে কারণে ব্রণ হলে ব্যথা অনুভূত হয়। শুধু নাকের ভেতরেই নয়, ওপরের দিকে বা নাক মুছতে গিয়েও ব্যথা লাগে। আর এই ব্রণ খুঁটলে অবস্থা আরও খারাপ হয়।”
ডা. লি এই ক্ষেত্রে ব্রণের মুখ সাদা হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “এর মানে হল আপনার দেহ ব্রণের সাথে লড়ছে আর ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সৈনিক পাঠাচ্ছে।”
ব্রণের মুখ সাদা হওয়ার পর সেটা ফাটানো যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন এই ত্বক বিশেষজ্ঞ।
প্রতিরোধের পন্থা
মাঝে মধ্যে নাকের ভেতর ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। তবে প্রায়ই যদি এই সমস্যা দেখা দেয়, তবে হয়ত কোনো সমস্যা আপনি পাকাচ্ছেন।
ডা. লি বলেন, “এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম কটনবাডে মেখে নাকের ভেতর ব্যবহার করা যেতে পারে। যা ব্রণের সমস্যা কমাবে।”
নাক ছাড়াও মুখের ত্বকে অতিরিক্ত ব্রণ হলে ব্যাক্টেরিয়ার বিরূদ্ধে কাজ করে এরকম ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে। এক্ষেত্রে বেঞ্জয়েল পারঅক্সাইড যুক্ত ক্রিম বেশ কার্যকর। তবে সেটার পরামর্শও নিতে হবে ডাক্তারের কাছ থেকে।
আর ব্যথাযুক্ত যে কোনো ব্রণ সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে আপনা থেকেই ফেটে যায়্। সেটা যদি না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।