যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার। তার আগের মুহূর্তের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে ভোটারদেরকে শেষ বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও তার প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প।
এই রাজ্যগুলোর ভোটই নির্ধারণ করে দেবে জয়-পরাজয়। হ্যারিস রোববার তার প্রচারের শেষ দিন কাটাচ্ছেন পেনসিলভেইনিয়ায়। সেখানে অ্যালেনটাউন, পিটসবার্গ এবং ফিলাডেলফিয়ায় তিনি সমাবেশ করবেন।
অন্যদিকে, ট্রাম্প শেষ নির্বাচনি প্রচারে কাটাবেন তিন দোদুল্যমান রাজ্যে। নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেইনিয়া এবং মিশিগানে সমাবেশ করবেন তিনি।শেষ দিনের এই প্রচারে ট্রাম্প অতীতের বুলি আওড়ে বলে চলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে হারের পর তার হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়া উচিত ছিল না। পেনসিলভেইনিয়ায় এবছরের ভোটে জালিয়াতি হওয়ার অভিযোগেরও পুনরাবৃত্তি করছেন তিনি। তার এই দাবির সপক্ষে ট্রাম্প কোনও প্রমাণও দেননি।
ওদিকে, হ্যারিস মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব-আমেরিকান ভোট দলে টানার চেষ্টায় নির্বাচিত হলে গাজায় যুদ্ধ অবসান করতে তার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব তা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসাবে ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছেন হ্যারিস। অক্টোবরের রয়টার্স/ইপসোস জরিপেও দেখা গেছে, ভোটাররা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতির পর আজ দ্বিতীয় যে সবচেয়ে বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে তা হচ্ছে গণতন্ত্রে হুমকি।
তবে ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, দেশের অর্থনীতি এবং উচ্চ-মূল্য, বিশেষ করে খাবার এবং আবাসনে উচ্চমূল্য নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগই তাকে হোয়াইট হাউজে পৌঁছে দেবে।রোববারের প্রচারে পেনসিলভেইনিয়ার এক সমবেশে তাই অর্থনীতি নিয়েই ভোটারদের বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। বলেছেন, “আমরা আপনাদের কর কমাব, মূল্যস্ফীতির অবসান ঘটাব, উচ্চমূল্য সমস্যার সমাধান করব, বেতন বাড়াব এবং আমেরিকায় আবার হাজার হাজার কারখানা ফিরিয়ে আনব।”
নির্বাচনের আগে শেষ সময়ের জরিপগুলোতেও ট্রাম্প এবং হ্যারিসের মধ্যে জনসমর্থনের দিক থেকে অপ্রত্যাশিতরকম কম ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। আর এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়ে দিয়েছে ৭৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।