সারা দেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত বেড়েছে। এ সময়ে ২১ জন করনো শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৭ জন।
তবে, এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪০ অপরিবর্তিত।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিগত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন করোনা শনাক্ত হন। এদিনও কারও মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অদিফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উল্লিখিত সময়ে সুস্থ হয়েছেন ১৩২ করোনা রোগী। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৬ জন।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার দশমিক ৫৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
পরবর্তী সময়ে করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃতের সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে। ডেলটার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় আবারও মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হলেও এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে।
পিএসএন/এমঅাই