উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ছাত্রাবস্থায় একটি উগ্র ও রগকাটা দলের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে আইনজীবী জে আই খান পান্নার দেওয়া বক্তব্যকে ‘অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ প্রকাশ করা হয়।
গণবিয়েসহ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে চলতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর ‘বিপুল টক’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘তিনি (উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান) এটি (গণবিয়ে) উপভোগ করেছেন। তার প্রতিবাদ করার মতো মেরুদণ্ড নেই বলেই করেননি।
উনার (নিয়াজ আহমেদ খানের) অতীত ইতিহাস আমি জানি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় উনি কোন দল করতেন, তা আমি জানি। একদম উগ্রপন্থী দল করতেন। রগ কাটা দল। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ধরনের রগ কাটার একটি গ্রুপ উনি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। কিন্তু মেধার বিকাশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা তার দ্বারা সম্ভব হবে না। ’
এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেড আই খান পান্না ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির অতীত ইতিহাস’ জানার দাবি করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্জলা ও সর্বৈব অসত্য, বিদ্বেষপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে, উপাচার্য জীবনের কোনো পর্যায়ে কোনো ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংগঠনের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না। ভবিষ্যতেও তার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ নেই। ইতিপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একাধিক বক্তব্যে উপাচার্য তার এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পুরো সময় তিনি অনাবাসিক ছাত্র ছিলেন। জনাব পান্না কিংবা তার বর্ণিত কথিত ঘটনার সঙ্গে উপাচার্যের কোনো দূরতম সম্পর্কও নেই। জনাব পান্নার এ ধরনের বক্তব্য উপাচার্যের সম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য সম্পর্কে প্রদত্ত অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ঘিরে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হবে বলেও আশা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।