অনেকেই ঘুম থেকে উঠে চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দেন। কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে কিংবা ঘুম ঘুম ভাব হলেও অনেকে এমনটা করেন। কিন্তু চোখে জোরে জোরে পানির ঝাপটা দেওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
কীভাবে চোখে পানি দেবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনই খুব জোরে চোখে পাানির ঝাপটা দেবেন না। এতে চোখের ক্ষতি হবে । আলতো হাতে চোখে পানি বুলিয়ে ধুয়ে নিন। এর ফলে হয়তো বেশ কয়েকবার আপনাকে চোখে পানি দিতে হবে। তবে কিন্তু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। চোখের প্রচণ্ড জোরে পানির ঝাপটা দিলে চোখের ভিতরে থাকা নার্ভ এবং টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক সময় পানির ধাক্কায় চোখের পাতা ছিঁড়ে যায়। আবার চোখে বেশি জোরে পানি দিলে চোখ লালচে হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে থাকুন।
চোখ ধোয়ার পর মোছার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। গামছা হোক বা তোয়ালে, কোনও কিছু দিয়েই ঘুম জোরে ঘষে ঘষে চোখ মোছা ঠিক নয়। এতে চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। চোখের ভিতরে থাকা নার্ভ এবং টিস্যুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আলতো হাতে চেপে চেপে চোখ মুছে নিতে হবে।
চোখে চুলকানি হলে, চোখ জ্বালা করলে কিংবা চোখ থেকে পানি পড়লে, চোখে কিছু পড়লে যা করবেন-চোখে চুলকানি হলে হাত কিংবা রুমাল দিয়ে চোখ ঘষে চুলকানো ঠিক নয়। বরং চোখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আস্তে আস্তে চোখে পানি দিন। জোরে পানির ঝাপটা দেবেন না চোখে।চোখে চুলকানি শুরু হলে অনেকেই খালি হাতে চোখ কচলাতে থাকেন। এতে চোখে সংক্রমণ হতে পারে হতে পারে। এ কারণে চোখে যতই চুলকানি হোক সরাসরি হাত না দেওয়াই ভালো। পানিতে ভেজানো তুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা পরিষ্কার রুমাল দিয়ে চোখ মুছে নিতে পারেন।
একটানা কম্পিউটারে কাজ করলে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ লাল হয়ে যায়। এমন হলেও চোখে হাত দেবেন না। বরং পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে চোখ ধুয়ে নিতে হবে।