গতকাল সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং পুলের টিকিট বুথে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তিনবার দর্শকরা টিকিট না পেয়ে হট্টগোল করেন। মন্ত্রণালয় থেকে বিসিবির প্রতি নির্দেশনা ছিল- টিকিট ব্যবস্থাপনা ভালো করার জন্য। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিপিএলের টিকিটের চাপ ছিল। ওদিকে ব্যাংক বন্ধ হওয়ায় চাপ ছিল টিকিট বুথেও। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় এদিন টিকিট কাটা নিয়ে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং কমপ্লেক্স টিকিট বুথে লাইন ধরে টিকিট কেটেছেন দর্শকরা। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত গেট দিয়ে দর্শকরা গ্যালারিতে প্রবেশ করেন। স্টেডিয়ামের গেটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার।
এবারের বিপিএলের অধিকাংশ টিকিট দেওয়া হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। এছাড়া মধুমতি ব্যাংকের কিছু নির্ধারিত শাখায় পাওয়া যাচ্ছে বিপিএলের টিকিট। তবে বুথ থেকে টিকিট নিতেই যেন দর্শকের বেশি ভিড়। বিপিএল শুরুর প্রথমদিন থেকেই টিকিটের জন্য এই হট্টগোল ছিল। এর আগে বিপিএল শুরুর আগের দিন ও বিপিএলের দিন স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে দর্শক প্রবেশের চেষ্টা করেন।
বিপিএলের টিকিট কাটাসহ স্টেডিয়াম প্রবেশে ছিল পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছবি: সমকাল
সমর্থকের এমন আচরণ নিয়ে বিসিবি টিকিট কমিটির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘টিকিট না পেয়ে বুথে হামলা চালায়। এ রকম হলে বুথে টিকিট বিক্রি করা কঠিন হয়ে পড়বে।’ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘দর্শককের সুবিধার্থে কিছু টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে। যা পরিমাণে খুব বেশি না। ২৬ হাজারের মতো টিকিট ছাপা হয়েছিল এবং সেগুলো স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি হয়ে গেছে। সমর্থকদেরও বিষয়টি বোঝা উচিত।’