সাগর শান্ত হওয়ায় সব সমুদ্রবন্দর থেকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশালে ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মহারাষ্ট্র এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে গুজরাট অঞ্চলে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের পশ্চিম অঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার নাগাদ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের শেষের দিকে ক্রমান্বয়ে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হ্রাস পেতে পারে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায়, ৬৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে, ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।