চরের জমির দখল নিয়ে বিরোধের জেরে বরিশাল ভোলা সীমান্তের মহিষমারি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড গুলি করেছে। এতে ৩ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ সদস্যকে ভোলা সদর হাসপাতালে এবং আহত ১২ গ্রামবাসীকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মহিষমারি গ্রামের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম পলাশ জানান, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভোলা জেলা সীমান্তে মহিষমারি গ্রামের চরের জমির দখল নিয়ে শ্রীপুর ও ভোলার ভেলুমিয়া এলাকার জনগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ভোলার লোকজন এসে মহিষমারি গ্রামে হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় গ্রামবাসী এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। খবর পেয়ে ভোলা সদর থানার চর চুটকিমারা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা দু’পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় পুলিশ ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে মহিষমারি গ্রামের ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এসময় পুলিশের ৩ সদস্য তাদের ছোড়া ইট-পাটকেলে আহত হয়। আহত গ্রামবাসীকে দ্রুত বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ কবির উদ্দিন জানান, আহতদের অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদিকে, এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. আক্তারুজ্জামান।
পি এস/এন আই