চট্টগ্রামে মানববন্ধনে সংঘাতের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতাসহ ৭৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক ৪৯ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ২৬ জনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধাদান এবং পুলিশের সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানিয়েছেন।
মামলায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সদস্য ইয়াছিন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান এবং নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ঘটনায় জড়িত ছিল বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওসি নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘মানববন্ধন কর্মসূচিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা ৪৯ জনকে আটক করেছিলাম। তাদের সবাইকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামি ২৬ জন পলাতক আছেন।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সপ্তম বর্ষপূর্তির দিনে কেন্দ্রঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে নগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরাতে চাইলে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এসময় পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। ঘটনায় তিন পুলিশসহ অন্তঃত ১০ জন আহত হয়েছেন। আটক করা হয় ৪৯ জনকে।
তবে এ ঘটনার মধ্যেই প্রধান অতিথি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি নেতারা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে জামালখান থেকে আসকার দিঘীর পাড় পর্যন্ত যান।
পিএসএন/এমঅাই