ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানির (২৭) নামে আরও একটি মামলা হয়েছে।
রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কিছু বিপদগামী ধর্মীয় লেবাসধারী লোক দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। রফিকুল ইসলাম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ‘মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদরাসায়’ বসে দেশদ্রোহী ও নাশকতার কার্যকলাপ চালায়। একই সঙ্গে নাশকতা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।
কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মীয় বক্তব্যের আড়ালে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল ইসলাম।
তিনি গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অপমান, হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানিকর বক্তব্য দন।
এছাড়াও দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে অপমানজনক বক্তব্য দিয়ে ফেসবুক, ইন্টারনেট ও ইউটিউবে আপলোড করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে বিরাজমান সহিংসতা ও অস্থিরতার মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ইউটিউবে ‘ইসলামিক জীবন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আপলোড করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাসন থানায় ডিজিটাল আইনে রোববার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার (৭ এপ্রিল) ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার র্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে প্রথমে গাজীপুর জেলা কারাগার, পরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পাঠানো হয়।