পুলিশী বাঁধার কারণে খুলনায় ‘কালো দিবস’ পালন করতে পারেনি জেলা ও মহানগর বিএনপি। কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধন সফল করার লক্ষে সকাল থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আসতে থাকে । এর আগে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সকাল ১১ টার দিকে কার্যালয়ের সামনে দলীয় ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল “হাসান বাপ্পি বক্তৃতা শুরু করেন। এরপর মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম বক্তৃতা করছিলেন। এরই মধ্যে খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মানববন্ধনে বাঁধা দেয়। নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। নেতাকর্মীরা দূরে সরে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা ইট নিক্ষেপ করে।
আধাঘন্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাটি জনমানবশূণ্য হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বিএনপির প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, হেমায়েত হোসেন, সেতারা সুলতানা, নিঘাত সীমা, শমসুন নাহার লিপি, মোল্লা আইয়ুব হোসেন, লাভলী আক্তার, সালমা বেগম, মনিরা বেগম, রেশমী, শাহানারা সরাওয়ার ও আলাউদ্দিনসহ আরও অনেকে।
পুলিশের হামলার পর মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন শুরু করেছিলাম। খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ কোন কিছু না বলে হঠাৎ আমাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় ফখরুল আলমসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির একজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
পিএসএন/এমঅাই