খুলনার বটিয়াঘাটায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার জনাব মোঃ খায়রুল আনাম, বিপিএম—সেবা এর নেতৃত্বে জেলা গোয়ে›া শাখা ও বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি চৌকশল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ হাসান নকিব (৪২) ও ২। মোসাঃ রেশমা খাতুন (৩২)।
গত ০৯/০৩/২০২৫ বাগেরহাট জেলার সর থানাধীন সিএন্ডবি বাজার এলাকা হতে মোঃ হাসান নকিবকে এবং খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা এলাকা হতে মোসাঃ রেশমা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারে স্বীকারোক্তিমতে ১টি ইজিবাইক, ৫টি ব্যাটারী ও ১ টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য যে, ভিকটিম মোঃ হাফিজুল ইসলাম পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। গত ০৬/০৩/২০২৫সকালে ভিকটিম প্রতিিনের ন্যায় ভাড়ায় চালিত ইজিবাইক নিয়ে বের হয় কিন্তু রাতে আর ইজিবাইক নিয়ে ফিরে আসেনি এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবতীর্তে ০৭/০৩/২০২৫ খ্রিঃ সকালে বটিয়াঘাটা থানাধীন বটিয়াঘাটা টু গাওঘরা সড়কের পাশে নিখেঁাজ মোঃ হাফিজুল ইসলাম এর মৃতহে পাওয়া যায়।
এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃতরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মোঃ হাসান নকিব ও
মোসাঃ রেশমা খাতুন সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালক হাফিজুলকে হত্যা করে
তার ইজিবাইকটি নেওয়ার পরিকল্পনা করে আসছিলো। এর প্রেক্ষিতে গত ০৬/০৩/২০২৫ খ্রিঃ রাত অনুমান
১০.৩০ ঘটিকার সময় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন লাল হাসপাতাল চৌরাস্তার মোড় হতে গ্রেফতারকৃত
মোঃ হাসান নকিব ভিকটিমের ইজিবাইকে উঠে এবং ইজিবাইকটি বটিয়াঘাটা থানা এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা
হয়। পথিমধ্যে খালিশপুর থানাধীন নয়াবাটি মোড় হতে হাসান নকিবের স্ত্রী গ্রেফতারকৃত মোসাঃ রেশমা খাতুন
ইজিবাইকে উঠে। ইজিবাইকটি বটিয়াঘাটা টু গাওঘরা এলাকায় পৌছালে গ্রেফতারকৃতরা জোরপূর্বক ভিকটিমের
গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং চাপাতি িয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতহেটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখে
ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বটিয়াঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আালতে ফৌজারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানব›ী প্রান করেছে।একটি ক্লুলেস লোমহর্ষক হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর পুলিশ সুপার খুলনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ খায়রুল আনাম, বিপিএম—সেবা এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ ল অভিযান পরিচালনা করে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামীরে গ্রেফতার ও ইজিবাইক উদ্ধারসহ চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের রহস্য
উদঘাটনে সক্ষম হওয়ায় নিহতের পরিবার ও সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।