মৎস্য জগতে ইলিশ জাতীয় মাছ। ইলিশ মাছ জাতীয় অর্থনীতির বড় ভূমিকা পালন করছে। রূপালী ইলিশের স্বাদ খুলনার মানুষ প্রায় ভুলতে যাচ্ছে। রসনা বিলাশে ইলিশের জুড়ি নেই।
প্রাকৃতিক সম্পদ ইলিশ পুরোটাই ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। জেলেরা জানিয়েছেন সমুদ্রে জালে মাছ ধরা পড়ছে কম। খরচ উঠছেনা।
খুলনার বাজারে পাইকারীর চেয়ে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গড়ে দেড়শ থেকে ২০০টাকা বেশী। ৬নং ঘাটস্থ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী বজারের আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, পাইকারী দেড়কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ ১৭২৫টাকা। ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারে খুচরা প্রতিকেজি ১৮০০-১৯০০টাকা। ১২-১৩শ গ্রাম ওজনের প্রতিকেজি পাইকারী ১৬২৫টাকা। খুচরা ১৭০০- ১৮০০টাকা। ১কেজি ওজনের প্রতিকেজি পাইকারী ১১০০ টাকা। খুচরা ১৬০০টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের পাইকারী ১২০০টাকা। খুচরা প্রতিকেজি ১৪০০টাকা। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতিকেজি পাইকারী ১০০০টাকা। খুচরা সাড়ে ১১০০-১২০০টাকা। ৪০০ -৫০০ গ্রাম ওজনের পাইকারী একই দাম। খুচরা বাজারে ৯০০-১০০০টাকা এবং ৪টিতে কেজি পাইকারী ৫০০টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০০টাকা। একেক বাজারে ভিন্ন দাম হাঁকছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। যা অনেকের ক্রয় ক্ষমতার কাইরে।
পিরোজপুর থেকে আগত জেলে মো. আনোয়ার হোসেন ও মো. মনির মল্লিক বলেন, প্রতিবার সমুদ্রে যাওয়া আসা করতে প্রতিটি ট্রালারে খরচ হয় ৩-৪লাখ টাকা। সে পরিমানে মাছ হয়না। তার পর জাল ছিড়ে গেলে জেলেদের ভর্তুকি দিতে হয় মহাজনকে। মাছ খুবই কম।
৬নং ঘাটস্থ সরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারী বজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, মাছ গত বছরের চেয়ে এ বছর কম। চাহিদা বেশী এবং সরবরাহ কম থাকার কারণে অনেক সময় দাম একটু বেশী হয়। আবার কমেও যায়। এখন ট্রলার কম আসে। পিকাপে বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মাছ আসে।