মুদ্রাস্ফীতি যে পরিমাণে হয়েছে, বেতন ততটা বাড়েনি বলে ধর্মঘটে রেলকর্মীরা।
মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাজ্যে রেল ধর্মঘট শুরু হয়েছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে এতবড় ধর্মঘট আর হয়নি। ইউনিয়নগুলির হুমকি, এরপর অন্য ক্ষেত্রগুলিও ধর্মঘটে সামিল হবে। কারণ, যুক্তরাজ্যে জীবনধারণের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
রেল ইউনিয়নগুলির দাবি, ১৯৮৯ সালের পর থেকে ব্রিটেনে এতবড় ধর্মঘট আর হয়নি। রেল কর্মীরা ব্যালটের মাধ্যমে এই ধর্মঘটে সায় দিয়েছিলেন। ইউনিয়নগুলির দাবি, এই ধর্মঘট জরুরি ছিল। কারণ যে হারে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, সেই হারে কর্মাীদের বেতন বাড়ছে না। সেই সঙ্গে কর্মীরা নিজেদের চাকরি, কাজের পরিবেশ ও পেনশনের ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা করতে চান না।
যুক্তরাজ্যে গত ৪০ বছরের মধ্যে জিনিসের দাম এত বাড়েনি। এখন মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
ইউনিয়ন জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেষ সময়ের আলোচনা ভেস্তে যায়। রেল, মেরিটাইম ও ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স (আরএমটি) রেল ইউনিয়নের নেতা লিঞ্চ জানিয়েছেন, যতদিন দরকার, ততদিন এই আন্দোলন চলবে।
মনে করা হচ্ছে, রেল নেটওয়ার্কের অর্ধেক চালু থাকবে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার রেলকর্মী ধর্মঘটে অংশ নেবেন বলে সরকারের অনুমান। লন্ডন মেট্রোও মঙ্গলবার বন্ধ ছিল। কর্মীরা স্টেশন থেকে বাইরে চলে আসেন।
সরকার এখনো পর্যন্ত কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চায় না। সরকার চায়, রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নিক ইউনিয়নগুলি।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, করোনার পর শিল্প-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। তা আবার ধাক্কা খাবে।
পরিবহন মন্ত্রী বলেছেন, এই ধর্মঘট একটা বড় ভুল।
পি এস/এন আই