প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী, বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দৌহিত্র, টাটা প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র আর্ট অফিসার, কাজী অনিরুদ্ধ ও কল্যাণী কাজীর বড় ছেলে অনির্বাণ কাজী’র (৬৭) জীবনাবসান হয়েছে।
সুইজারল্যাণ্ডে হৃদরোগে আক্রান্ত (ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক) হয়ে তিনি মারা যান। তাঁর এই মৃত্যুতে দুই বঙ্গে সংস্কৃতি মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গভীর শোক প্রকাশ করেন চুরুলিয়ার কাজী পরিবারে সদস্য ও অনির্বাণ কাজীর আত্মীয় অরুণ কাজী।
তিনি টেলিফোনে বলেন, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল অনির্বাণ। আমরা প্রায় সমবয়সী। মাধ্যমিকে দারুণ রেজাল্ট করেছিল ও। তারপরে বিখ্যাত কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হয়। সেখানে সে ১৯৭৯ সালে আর্টে পশ্চিমবঙ্গে ফার্স্ট হয়েছিল। তারপর টাটা প্রাইভেট লিমিটেডের সিনিয়র আর্ট অফিসার হয়েছিল। অনির্বাণের এই মৃত্যুতে চিত্রশিল্প জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নিজে যোগাযোগ করে যা জানতে পেরেছি সেটা হল, অনির্বাণের মরদেহ শনিবার বিশেষ বিমানে কলকাতাতে আনা হবে। তারপর কলকাতার পার্কসার্কাস গোবরা কবরস্হানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার এই আকস্মিক মৃত্যু আমাদের কাছে খুব বেদনার। তার মৃত্যুতে একটা যুগের অবসান হল। গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেন কাজী পরিবারের আরেক সদস্য তথা সিনিয়র সাংবাদিক কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী। টাটার প্রতিনিধি হিসাবেই অনির্বাণ কাজী সুইজারল্যাণ্ড যান। সেখানেই তার আকস্মিক মৃত্যু।