কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পলী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত গত ৫ জুনের এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মনোনিত করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল মাহমুদ বিশেষ একজন আবেদনকারীকে বেশি নম্বর প্রদান পূর্বক নিয়োগ প্রদানের জন্য তাকে চাপ প্র্রয়োগ করেন। ওই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্যজনিত কারণে মাদ্রাসার সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে ড. নজরুল ইসলামকে প্রহার করা হয়। এছাড়া মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা জিম্মি করে রাখায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) ঘ) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, খুলনা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। উলিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১ জুন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল মাহমুদ। তবে শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর পূর্বক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজহারুল ইসলাম।