ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। দক্ষিণ ফ্লোরিডায় শুক্রবার এক সমাবেশে তিনি বলেন, কমলা হ্যারিস ইহুদিদের পছন্দ করেন না, ইসরায়েলকে পছন্দ করেন না। খবর- এএফপি
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় কমলা হ্যারিস কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন না। এ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটা এভাবেই হয় এবং এভাবেই সব সময় এটা হতে থাকবে। তাঁর পরিবর্তন হবে না।’ যদিও ট্রাম্প কমলাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলে আক্রমণ করে যাচ্ছেন তবে কমলার স্বামী ডগলাস এমহফ একজন ইহুদি।
অন্যদিকে বক্তব্যে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর থাকার সময় এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিস কী কী করেছেন, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন ট্রাম্প। এ ব্যাপারে কমলার নির্বাচনী শিবিরের উপদেষ্টা পেট বুটেজেজ বলেছেন, ট্রাম্পের কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে তিনি কমলাকে ভয় পেয়েছেন।
কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে একটি বিতর্কের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে গেছেন। বাইডেন এবং ট্রাম্প দুটি সাধারণ নির্বাচনী বিতর্কে সম্মত হয়েছিলেন, যার মধ্যে প্রথমটি ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাইডেনের পারফরম্যান্স এতটাই বিপর্যয়কর ছিল যে, চার সপ্তাহের মাথায় তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল ১০ সেপ্টেম্বর এবিসি নিউজের আয়োজনে। এখন ট্রাম্প আর সেই বিতর্কে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জনসমর্থনের ব্যবধান দিন দিন কমে আসছে কমলার। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের জাতীয় জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। এই জরিপে ৪৮ শতাংশ মার্কিন ভোটার ট্রাম্পকে এবং ৪৬ শতাংশ কমলাকে সমর্থন জানান। অথচ জুলাইয়ের শেষ দিকে একই প্রতিষ্ঠানের করা জরিপে ট্রাম্পের প্রতি ৪৯ শতাংশ ও বাইডেনের প্রতি ৪১ শতাংশ ভোটার সমর্থন জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে জনসমর্থনে এগিয়ে যাচ্ছেন সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। কমলা খুব দ্রুতই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্র্যাট ডেলিগেটের (প্রতিনিধি) সমর্থন পেয়ে গেছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনিই দলের মনোনয়ন পেতে চলেছেন।