নতুন বছর শুরু হলো। বছরের শুরু থেকেই সৌন্দর্য সচেতন নারীরা মুখিয়ে থাকেন ট্রেন্ডি সাজের ধারা নিয়ে। এখনকার নারীরা ত্বকের সৌন্দর্য কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে ত্বক ভালো রাখা যায়, কীভাবে ত্বকের সমস্যা কমানো যায় তা নিয়ে সচেতন। ২০২৫ সাল জুড়েও এ বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞরা।
এখন মানুষ পরিবেশবান্ধব স্কিন কেয়ারের দিকে ঝুঁকছে। কয়েক বছর আগে ভেগান স্কিন কেয়ারের পণ্যের চাহিদা বেড়েছিল। ২০২৪ সালে কোরিয়ান ও জাপানিজ স্কিন কেয়ারের ট্রেন্ডও চলেছে। ২০২৫ সালে কী ধরনের স্কিন কেয়ার জনপ্রিয় হতে চলেছে কিংবা কোন ধরনের স্কিন কেয়ার ত্বকের জন্য ভালো, তা জেনে নিন।
ওয়াটারলেস বিউটি প্রডাক্ট
একটা সময় ছিল যখন পানিভিত্তিক স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন ওয়াটারলেস বিউটি প্রডাক্টের খোঁজ করছে মানুষ। যে প্রসাধনীতে পানি থাকে, সেগুলো তুলনামূলকভাবে ভারী হয়। আজকাল হালকা ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম ব্যবহারের চল বেশি। বছরজুড়ে এ ধরনের পণ্য রাজত্ব করবে বলে মনে করছেন রূপ-সচেতনরা।
‘স্কিনিমালিজম’
‘মিনিমালিস্ট’ থেকে এসেছে ‘স্কিনিমালিজম’। অর্থাৎ, ফেসওয়াশ, সিরাম, সানস্ক্রিন, ময়েশ্চারাইজারের পর এত স্কিন কেয়ার পণ্য মাখতে কেউ আর আগ্রহী নন। এত সময় স্কিন কেয়ারের পিছনে ব্যয় করতে চান না অনেকেই। তাই মানুষ এমন একটা পণ্য খুঁজছে, যা ত্বকের উপর বিভিন্ন কাজ করবে। যেমন যে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবে, তাতেই যেন এসপিএফ থাকে। সিরাম যেন ত্বককে হাইড্রেটও করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টপূর্ণও হয়। অর্থাৎ অ্যান্টি-এজিংয়েরও কাজ করে। আবার টিন্ট ব্লাশ ও লিপ বাম দু’টোরই কাজ করে। এমন স্কিন কেয়ারকেই বলা হচ্ছে ‘স্কিনিমালিজম’।
অ্যান্টি-এজিং
আগে মানুষ ত্বকের বার্ধক্য নিয়ে মাথা ঘামাতো না। কিন্তু এখন অল্প বয়স থেকেই মানুষ অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার শুরু করছে। বলিরেখা হোক বা পাকা চুল—অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে চুল ও ত্বককে রক্ষা করছে। ২০২৫ সালে এই ট্রেন্ডও বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইকো ফ্রেন্ডলি প্যাকেজিং
স্কিন কেয়ারে শুধু ভেষজ পণ্য ব্যবহার করবেন, অথচ পণ্যের প্যাকেজিংয়ের নজর দেবেন না, তা হবে না। আজকাল অনেক সংস্থা তাদের স্কিন কেয়ার প্রডাক্টের প্যাকেজিংয়েও বাঁশ, কাগজ, আলুমিনিয়াম ও বায়োডিগ্রেডেবল প্ল্যাস্টিক ব্যবহার করছে। কার্বনের ব্যবহার কমাচ্ছে। শুধু প্রসাধনী ইকো-ফেন্ডলি হলে চলবে না, প্যাকেজিংও হতে হবে পরিবেশবান্ধব।