সাকিবুর রহমান
খুলনার বাজারে সবজির যোগান বাড়লেও কমেনি দাম। শিক্ষার্থীরা দু একদিন বাজার মনিটরিং করলেও তার প্রভাব পড়েনি নগরীর বেশিরভাগ বাজারে। সকালে নগরীর গল্লামারী কাচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ সবজির দাম অপরিবর্তিত বরং কাচামরিচ ও পেয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। ৪০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি কেবল পটল ছাড়া। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে,বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, পটল ৩০,টমেটো ৯০-১০০, ওল ৫৫-৬০ টাকা কেজি। অন্যদিকে প্রতিকেজি সোনালি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা।
কাচামরিচের গায়ে যেন আগুন। হাত ছোঁয়ানো দায়। ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাচামরিচ, বেগুনের কেজি ৬০-৭০ টাকা, পেয়াজ ৯০-১১০ টাকা কেজিপ্রতি ও আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা করে। আলু এবং বেগুন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া সবজি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন কোনো ধরনের তদারকি না থাকায় সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা দাম কমাচ্ছে না। দেকভালের কেউ না থাকায় এখনো সক্রিয় সিন্ডিকেট। তারা বলছেন পরিবহন খরচ কমেছে আগের থেকে। নেই চাঁদাবাজি তবুও কোনো এক অদৃশ্য কারণে দাম কমছে না। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন পর্যাপ্ত চাহিদার বিপরীতে যোগান কম থাকায় দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সবজির ভ্যানে দামদর করতে থাকা ক্রেতা আইনুল বলেন, আমাদের কষ্ট কেউ দেখার নেই। আলুর দামটা আরও কিছুটা কমানো গেলেও অন্তত কিছুটা লাঘব হবে কষ্ট।
গল্লামারী ব্রীজের উত্তর দিকে বসে ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতারা। সেখানে ক্রেতা হাশেম বলছেন তারা অসহায়, দিন কয়েক যে দাম ছিলো এখনো তাই। ‘আমি সারামাসে কামাই করি ১৩-১৪ হাজার টাকা। আমার ফ্যামিলি চালাতে হিমশিম খেতে হয়’ বলেন তিনি। মোহাম্মদনগরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, নতুন সরকার আসার পর ভেবেছিলাম জিনিসপত্রের দাম কমবে। সরকার যাতে এইদিকে দৃষ্টি দেয় সেটাই আমি চাই।
এদিকে নিজের কাচামালের বস্তা সরাতে সরাতে বিক্রেতা জসিম ব্যাপারী বলেন, বেশি দামে কিনে হিমাগারে রাখে তারাও (আড়তদার) তো লাভের জন্যই কিনেছে। এখন আলু পর্তা (কেনা) পড়ছে ৪২ টাকা। একটা ট্রাক ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। এখানে আসতে আসতে ৪৮-৪৯ টাকা খরচ হয়ে যায় তারা এখানে এসে বিক্রি করে। এক বস্তা আলুর মধ্যে ৫-৭ কেজি পঁচা পায়। এখন মানুষ তো এসব দেখে না আমাদের লাভের ভাগও সীমিত আসলে।