বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে তাঁর কার্যালয়ে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নামফলক খুলে ফেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীর একাংশ বুধবার থেকে আন্দোলন শুরু করেন। তারা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। বর্তমানে উপাচার্য ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য কার্যালয়ে তালা দেওয়ার আগে ক্যাম্পাসে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণসভা হয়। এতে উপাচার্য পূর্বঘোষিত প্রধান অতিথি ছিলেন। তবে গতকাল তাঁর নাম বাদ দিয়ে উপউপাচার্য ড. গোলাম রাব্বানীকে প্রধান অতিথি করা হয়। ব্যানারে উপাচার্যের নাম ঢেকে রাখা হয়।
তুলে ফেলা হয় নামফলক
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি– উপাচার্য শুচিতা ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর সহযোগী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি উপাচার্য পদে যোগ দেওয়ার পর ড. কলিমুল্লাহকে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল, পরীক্ষা কমিটি ও আগের চাকরি গণনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এর পর থেকেই তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। তাদের দাবির মুখে গত ১৯ নভেম্বর ড. কলিমুল্লাহকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হলে নতুন করে তোপের মুখে পড়েন উপাচার্য। ড. কলিমুল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন মোস্তফা কামাল সেখানকার রেজিস্ট্রার ছিলেন।
আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বিশ্বাস বলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁর কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকবে। কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ৫৩ জন শিক্ষক ও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ২০ আগস্ট তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া পদত্যাগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর ড. শুচিতা উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন।