করোনাভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ রুখতে ইরানের অধিকাংশ অঞ্চলে শনিবার থেকে ১০ দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলিরেজা রাইসি জানিয়েছেন, ইরানের ৩১টি প্রদেশের ২৩টিতে এই লকডাউন কার্যকর হবে। লকডাউনে ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থিয়েটার ও খেলাধুলার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং বুধবার থেকে শুরু হওয়া পবিত্র রমজান মাসে লোকজনের জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের বেশি হচ্ছে। এছাড়া করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজারেরও বেশি।
টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমরা আজ চতুর্থ ঢেউয়ে প্রবেশ করেছি।’ নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে পাওয়া ভাইরাসের ধরনটিকে দায়ী করেন যা এ বছরের শুরুর দিকে প্রতিবেশী ইরাক থেকে ইরানে ছড়িয়ে পড়েছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্য কারণ হিসেবে তিনি দেশজুড়ে ভ্রমণ, বিয়ে এবং ২০ মার্চে ইরানি নববর্ষের ছুটি উদযাপনকে দায়ী করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাইসি বলেন, ইরানে এখন ভাইরাসের বৃটিশ ধরনটির কারণেই বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। ২৫৭টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রধান কেন্দ্র হলো ইরান। ভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরন যেন না ছড়াতে পারে সেজন্য ইরাকের সঙ্গে যুক্ত সীমান্তের বেশ কিছু পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি।
ইরানের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিও চলছে ধীর গতিতে। তেহরান জানিয়েছে, রাশিয়ার স্পুটনিক ৫ ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ অর্ডারের চার লাখ ডোজ এখন পর্যন্ত পৌঁছেছে। এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৪২ লাখ ডোজ সরবরাহের অপেক্ষাতেও আছে তারা।
চীনের সিনোফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনের আড়াই লাখ ডোজও পেয়েছে ইরান এবং ভারতের কোভ্যাক্সিনকে দেয়া অর্ডারের অংশ হিসেবে পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তারা পেয়েছে।