খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরফপুর ইউপির চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার কারণও এখন উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ একইসাথে এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
রোববার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এ সময় রবির লাশ দেখতে গ্রামের মানুষ ভিড় করেন। সবার চোখেই ছিল পানি। রবির গ্রামবাসীরা উত্তর খুঁজছেন এই খুনের।
স্থানীয়ের বরাতে জানা যায়, ছাত্রলীগের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন রবি। শরফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এক সময়। পরপর তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। শেষ দুবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন রবি।
তাঁর বাড়ি শরফপুর ইউনিয়নের ভুলবাড়িয়া গ্রামে। তবে পরিবার নিয়ে থাকতেন খুলনা নগরের নিরালা আবাসিক এলাকায়। রবিউল দুই ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ষষ্ঠ।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের হত্যাকাণ্ড জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। একসময়ের আতঙ্কের উপজেলা হিসেবে পরিচিত হলেও গত প্রায় ২২ বছরে এ ধরনের কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় যাঁরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেন, তাঁরা এখন ছদ্মবেশে এলাকায় আছেন।
পরিবারের লোকজন মারফত জানা যায়, রবিউল ইসলাম মোটরসাইকেলে করে একাই চলাফেরা করতেন। প্রতিদিন সকালে ডুমুরিয়ায় নিজের এলাকায় যেতেন আর রাতে খুলনায় ফিরে আসতেন। গতকালও রাত ১০টার দিকে ডুমুরিয়া থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলেন রবিউল। গুটুদিয়ার ওয়াপদা বাঁধের কাছে আসার পর সন্ত্রাসীরা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যান। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, যেহেতু কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই, তাই কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।