খুলনা সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে সূর্য্যদেয়ের সাথে সাথে নগর ভবন, মেয়রের বাস ভবন, খালিশপুর শাখা অফিস, নগর স্বাস্থ্য ভবন, মাতৃসদন, পৌর গ্যারেজ, এ্যাসফল্ট প্লান্ট, ওয়ার্ড অফিসসহ কমিউনিটি সেন্টার ও কেসিসি পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং শহিদ হাদিস পার্কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়সমূহ বাংলা বর্ণমালা ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
দিবসের প্রথম প্রহরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর শহিদ হাদিস পার্কস্থ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সকালে নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কেসিসি’র মেয়র প্যানেল সদস্য, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে সকালে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম।
পরে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আলোচনা সভায় ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিটি মেয়র বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা ভাষার অধিকার ও স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পৃথিবীর অন্য কোন জাতি ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে বায়ান্নতে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সেই আন্দোলন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামে রূপ লাভ করে এবং স্বাধিনতা অর্জনের পর ভাষা শহীদদের অমর স্মৃতি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবাদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করেন। অমর একুশের চেতনা বাঙালি জাতিকে চিরদিন বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে উজ্জীবিত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে সিটি মেয়র চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কেসিসি’র কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেয়র প্যানেলের সদস্য এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা, কাউন্সিলর মো: আমিনুল ইসলাম মুন্না, মো: আলী আকবর টিপু, মফিজুর রহমান পলাশ, মো: গোলাম রব্বানী, শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, শেখ খালিদ আহমেদ, মো: শরিফুল ইসলাম, মো: শফিকুল আলম, ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, জেড এ মাহমুদ ডন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, খাদিজা সুলতানা, মাহমুদা বেগম, কনিকা সাহা, মাজেদা খাতুন ও এ্যাড. জেসমিন পারভীন জলি। অন্যান্যের মধ্যে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস কে এম তাছাদুজ্জামান, এস্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার, বাজার সুপার এম এ মাজেদ, কেসিসি পরিচালিত নয়াবাটী হাজী শরিয়ত উল্লাহ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক শেখ জাহিদুজ্জামান সহ কেসিসি’র কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।